শিম্পাঞ্জির সঙ্গে প্রেম, চিড়িয়াখানায় প্রবেশ নিষেধ এক নারীর
ফের প্রেমে বাধা। না এ কাজ তালিবানদের নয়। প্রেমে বাধা দিয়েছে বেলজিয়ামের এক চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। তবে এই প্রেমটি অন্যদের থেকে একটু আলাদা। পশু-পাখির প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও মায়া নতুন নয়। মানুষের সঙ্গে তাদের সখ্যতা নিয়ে অনেক ঘটনাই সামনে এসেছে। তবে এবার ব্যতিক্রমী ঘটনা বেলজিয়ামে। সেখানে শিম্পাঞ্জির প্রেমে পড়ে যাওয়ায় এক বেলজিয়ান নারীর প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে চিড়িয়াখানায়।
স্থানীয় অ্যানটুয়ার্প চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ লক্ষ্য করেন যে অ্যাডি টিমেরমান্স নামের এক নারী সেখানের অন্যান্য পশু-পাখি রেখে শুধু চিতা নামের একটি শিম্পাঞ্জির সঙ্গে সময় কাটান। এরপরই তিনি দাবি করে বসেন যে ওই ৩৮ বছরের শিম্পাঞ্জির সঙ্গে প্রেম করছেন এবং প্রত্যেক সপ্তাহে তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। চার বছর ধরে তাদের সম্পর্ক।
সাম্প্রতিক সময়ে অ্যাডি প্রায় প্রতি সপ্তাহেই অ্যানটুয়ার্প চিড়িয়াখানায় আসা-যাওয়া করছিলেন। মাঝখানে কাচের দেওয়াল আর দু’পাশে চিতা ও অ্যাডি। দীর্ঘসময় ধরেই চলত তাদের এই প্রণয় পর্ব। প্রায় চারবছর ধরে এভাবে চিতাকে দেখতে নিয়মিত চিড়িয়াখানায় আসতেন অ্যাডি। অ্যাডি টিমেরমান্স এর সাফ বক্তব্য, ”আমি শুধু বলেছি, আমাদের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক রয়েছে। আমি চিতাকে ভালবাসি। সেও আমাকে ভালবাসে। আমি তো এর থেকে বেশি কিছুই পাইনি। তবে তারা কেন এটুকু কেড়ে নিতে চায়।”
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ মনে করছে যে চিতার সঙ্গে অ্যাডির ঘনিষ্ঠতা ক্ষতি করছে চিতার সঙ্গে অন্য শিম্পাঞ্জিদের সম্পর্ক ও বন্ধুত্বে এবং তাদের একসঙ্গে বেড়ে ওঠাতেও বাধা দিচ্ছে। চিড়িয়াখানার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চিতা যখন অ্যাডির সঙ্গে ব্যস্ত থাকত তখন অন্যান্য শিম্পাঞ্জিরা তাকে এড়িয়ে চলত এবং চিতাকে তাদের দলের কেউ বলে ভাবত না। দূরত্ব বাড়তে বাড়তে এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছে যে ভিজিটর আসার সময় শেষ হয়ে গেলে একাই থাকতে হয় চিতাকে।