ডায়বেটিসে কি আপেল খাওয়া উচিৎ ?
গোটা বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু ওষুধ খেয়ে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। এর পাশাপাশি জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আনতে হয়।
এ কারণে ডায়াবেটিস বিশেষ রোগীদের সতর্ক হওয়ার দেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ভাষায়, ডায়াবেটিস হলে শরীরে ইনসুলিন ঠিক মতো কাজ করতে পারে না বা পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি হয় না। আর ইনসুলিন তৈরি না হওয়ার কারণে শরীর শর্করা বা কার্বোহাইড্রেটকে কাজে লাগাতে পারে না। ফলে শর্করার উপস্থিতি বাড়ে রক্তে। তাই চিকিৎসকরা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে এমন খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেন।
ফল ও ডায়াবেটিস
প্রত্যেকটি মানুষেরই সুস্থ থাকতে ফল খাওয়া উচিত। ফলের মধ্যে থাকা ভিটামিন ও খনিজ শরীরকে ভালো রাখতে পারে। এই কথাটি ডায়াবেটিস আক্রান্তের ক্ষেত্রেও সত্যি। তবে এক্ষেত্রে ফল খাওয়ার আগে দেখে নিতে হয় সেই ফল খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে কিনা। এক্ষেত্রে মূল মাপকাঠি হল গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। এই গ্লাইসেমিক ইনডেক্সই বলে দেয় কোন ফল খাওয়া যাবে আর কোন ফল খাওয়া যাবে না।
আপেল খেলে কি শর্করা বাড়ে?
আপেল ফল হিসেবে দারুণ উপকারী। এই ফলটি ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর। আর এর স্বাদও অনন্য। ফলের মধ্যে আপেলের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আর আপেলের গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক তেমন বেশি নয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা চাইলে আপেল খেতেই পারেন। তবে খুব বেশি সংখ্যায় আপেল খাওয়া ঠিক নয়। ডায়াবেটিস রোগীরা দিনে একটি বা দুই দিনে আপেল খেতে পারেন। এক্ষেত্রে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া ভালো। তবে আপেল খেতে হবে খোসা শুদ্ধ। আপেলের খোসায় পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
কোন ফল খাওয়া ঠিক নয়
যেই ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক বেশি ডায়াবেটিস রোগীদের সেই ফল খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এই ফলগুলি রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়াতে পারে । এক্ষেত্রে কলা, আঙুর, আম, লিচু ইত্যাদি এড়িয়ে চলা উচিত।
কোন ফল খাবেন
যেই ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, খনিজের পাশাপাশি ফাইবার রয়েছে ডায়াবেটিস রোগীরা সেই ফল খেতে পারেন। এক্ষেত্রে শসা, ন্যাশপাতি, বেরি, কিউই, ব্লু বেরি সীমিত মাত্রায় খেতে পারেন। তবে অবশ্যই খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।