পৃথিবীর বৃহত্তম সাফারি পার্ক হবে ভারতেই
ভারতেই তৈরি হচ্ছে পৃথিবীর বৃহত্তম সাফারি পার্ক। হরিয়ানায় আরাবল্লীর পর্বতের উপর প্রায় ১০ হাজার একর জায়গা জুড়ে এই উদ্যান তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও হরিয়ানা সরকার যৌথ ভাবে তৈরি করবে এই উদ্যান। সম্প্রতি এই খবর দিয়েছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। সম্প্রতি হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব সংযুক্ত আরব আমিরশাহির শারজায় একটি সাফারি পার্কে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরেই খট্টর জানান, এনসিআর অঞ্চলে এই ধরনের পার্ক গড়ে তোলার বিপুল সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতেই এই পরিকল্পনা। গুরুগ্রাম ও নুহ জেলার কিছু অংশ এই পার্কের অন্তর্গত হতে পারে। আর এই প্রকল্পটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রকল্প বলে মনে করা যেতে পারে।
আরাবল্লী পর্বতমালায় রয়েছে নানা প্রজাতির পাখি, বন্য প্রাণী ও প্রজাপতির আবাসস্থল। ওই রাজ্যের সরকারের বিবৃতি অনুসারে, কয়েক বছর আগে একটি সমীক্ষা অনুসারে আরাবল্লী রেঞ্জে প্রায় ১৮০ প্রজাতির পাখি, ১৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ২৯ ধরনের জলজ প্রাণী ও সরীসৃপ, ৫৭ প্রজাতির প্রজাপতি পাওয়া গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, জঙ্গল সাফারির প্রকল্পটি শুধুমাত্র দেশি-বিদেশি পর্যটকের সংখ্য়া বৃদ্ধি হবে তাই নয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানেরও বিশাল সুযোগ খুলে যাবে।
সরকারি বিবৃতি অনুসারে, প্রস্তাবিত আরাবল্লী পার্কটি হবে শারজাহ পার্কের আকারের থেকেও পাঁচগুণ বেশি। এই সাফারি পার্কে কি কি থাকতে পারে তা দেখে নেওয়া যাক এক নজরে-
- সরীসৃপদের থাকার জন্য একটি বড় জায়গা,
– পাখিরালয়
– বাঘ বা সিংহের জন্য চারটি এলাকা,
– তৃণভোজীদের জন্য একটি বড় এলাকা
– বহিরাগত পশু-পাখিদের জন্য একটি পৃথক এলাকা,
– জলের নীচের পৃথিবীকে চেনার জন্য সংরক্ষিত এলাকা,
– প্রকৃতির মধ্যে পথচলা,
– দর্শক ও পর্যটন অঞ্চল।
– বিরল ও দেশি উদ্ভিদ সংক্রান্ত বাগান।
– নিরক্ষীয়, গ্রীষ্মপ্রধান, উপকূলীয় ও মরুভূমি, বিভিন্ন পরিবেশের একটি সংরক্ষণালয়
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, হরিয়ানার জঙ্গল সাফারি প্রকল্পটি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক ও হরিয়ানা সরকারের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হবে। প্রকল্পের অধীনে কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের জন্য হরিয়ানাকে তহবিল হিসেবে প্রদান করবে। এমন অভিনব ও রোমাঞ্চে ভরপুর প্রকল্পের জন্য একটি বিশ্বব্যাপী পর্যটকের কাছে আগ্রত তৈরি হবে। এই প্রকল্পটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও ডিজাইন করা জন্য ইতোমধ্য়ে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন দুটি সংস্থাকে শর্টলিস্টেড করা হয়েছে। ওই বিদেশি সংস্থাগুলি বর্তমানে পার্কের ডিজাইনিং, তত্ত্বাবধান ও পরিচালনার জন্য একটি আন্তর্জাতিক ডিজাইন প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। প্রকল্পটি পরিচালনার জন্য একটি আরাবল্লী ফাউন্ডেশন স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই এই মর্মে বিভিন্ন অঞ্চলে সমীক্ষা শুরু করেছে ‘সেন্ট্রাল জু অথরিটি’।