একলা তার বাসা
সুপ্রভাত বিশ্বাস, ঠাকুর নগর, উত্তর ২৪ পরগনা ## একলা জীবন, একলা এ মন একলা আকাশ একলা বাতাস বয়ে চলে মাইলের
Read moreসুপ্রভাত বিশ্বাস, ঠাকুর নগর, উত্তর ২৪ পরগনা ## একলা জীবন, একলা এ মন একলা আকাশ একলা বাতাস বয়ে চলে মাইলের
Read moreতাপস কুমার মুখোপাধ্যায় ## পেটের টানে ছুটছি মোরা বলছে লোকে পরিযায়ী, শ্রমের বদলে করি রোজগার তাতেই চড়ে অন্ন হাঁড়ি ।
Read moreপলাশ মুখোপাধ্যায় ## দুর্গাপুর থেকে কলকাতা হয়ে মুম্বাই শচীন তেন্ডুলকরের বাড়ি। দুই হাজার কিলোমিটারেররও বেশি পথ ব্যাকগিয়ারে সড়ক পথে। পথে
Read moreপ্রহাণ মুখোপাধ্যায়, দমদম, ষষ্ঠ শ্রেণী ## নন্টুর আর কিছু করার ছিল না। সে সেই পাথরটা ফেলতে চাইছিল না। কিন্ত মায়ের
Read moreঅগ্নিভ হালদার, বিশ্বভারতী, শ্রীনিকেতন ## মিষ্টি আমাদের অনেকেরই প্রিয় খাদ্য এবং মিষ্টির এই মিষ্টতার বহুল প্রচলিত উৎস হলো চিনি । কিন্তু এই চিনি ডায়াবেটিস সহ বহুবিধ মারণব্যাধির অন্যতম কারণ । এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে এমন একটি উদ্ভিদ হল স্টেভিয়া ।এই স্টেভিয়া পৃথিবীর এক অত্যাশ্চর্য মিষ্টি গুল্ম জাতীয় ভেষজ গাছ। এ গাছ শত শত বছর ধরে প্যারাগুয়ের পাহাড়ি অঞ্চল রিওমন্ডে এলাকায় ব্যবহৃত হতো। প্যারাগুয়ের গুরানী ইন্ডিয়ান নামক উপজাতীয়রা একে বলে কা-হি-হি অর্থাৎ মধু গাছ। আফ্রিকাতে এটি মধু পাতা বা চিনি পাতা নামে পরিচিত। এছাড়াও থাইল্যান্ডে মিষ্টি ঘাস ও জাপানে আমাহা সুটেবিয়া বলে অবিহিত করা হয় । স্টেভিয়ার পরিচিতিঃ অস্বাভাবিক মিষ্টি এবং ভেষজগুণ সম্পন্ন এই স্টেভিয়া গাছটির উদ্ভিদতাত্ত্বিক সংক্ষিপ্ত পরিচিতি হলো-এটি একটি বহু বর্ষজীবী গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। ইহা কম্পোজিট ফ্যামিলির অন্তর্ভুক্ত এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম Stevia rebaudiana । স্টেভিয়া সর্বোচ্চ ৬০-৭০ সেন্টিমিটার উচ্চতা বিশিষ্ট হয়। সবুজ রঙের পাতাগুলো কান্ডের সাথে বিপরীতমুখী বিন্যাসে থাকে এবং পাতার কিনারা খাঁজ কাটা ও বর্শাকৃতির। উদ্ভিদটি অনেকটাই এ্যাস্টার ফুল গাছের মতো। এর ফুল ছোট ও সাদা রঙের এবং কীটপতঙ্গ দ্বারা পরাগায়িত হয় । এর বীজ এন্ডোস্পারম যুক্ত ক্ষুদ্রাকৃতির । স্টেভিয়া চাষের ইতিহাস এবং বর্তমান পরিস্থিতিঃ স্টেভিয়ার আদি নিবাস প্যারাগুয়ে । ১৮৮৭ সালে সুইজারল্যান্ডের উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ড. এম.এস বার্টনি স্টেভিয়াকে প্রথম বিশ্ববাসীর কাছে পরিচয় করিয়ে দেন। । ১৯৬৪ সালে প্যারাগুয়েতেই প্রথম স্টেভিয়ার বাণিজ্যিক চাষাবাদ শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন দেশে বিশেষত ব্রাজিল, কলম্বিয়া, পেরু, চীন, কোরিয়া, আমেরিকা, কানাডা, ইসরাইল, মেক্সিকো, থাইল্যান্ড, মালেশিয়াসহ প্রভৃতি দেশে এটি ফসল হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ শুরু হয়। এশিয়াতে ৭০-এর দশকের প্রথম দিকে এই উদ্ভিদ পরিচিতি লাভ করে এবং তখন থেকে বাণিজ্যিক ভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে এটিকে৷ জাপানে চাষাবাদ শুরু হয় ১৯৬৮ সালে। ভারতের রাজস্থান,মহারাষ্ট্র, কেরল এবং উড়িষ্যা রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে সাম্প্রতিক কালে স্টেভিয়া সাফল্যের সাথে চাষ হচ্ছে । ২০১১ সালে ইউরোপিয় ইউনিয়ন (ইইউ) স্টেভিয়া ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে। এখন চীন বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্টেভিয়া উত্পাদনকারী দেশ৷ বিশ্বের ১০ শতাংশ স্টেভিয়া উত্পাদন করে দেশটি৷ স্টেভিয়ার গুণাগুণঃ স্টেভিয়া গাছটির সবুজ পাতাই মূলত কার্যকরী মিষ্টি উপাদানের প্রধান উৎস । স্টেভিয়ার পাতা চিনি অপেক্ষা ৩০-৪০ গুন বেশি মিষ্টি । স্টেভিয়ার পাতায় ০.৩ % ডালকোসাইড, ০.৬ % রেবাওডিওসাইড সি, ৩.৮ % রেবাওডিওসাইড এ এবং ৯.১ % স্টেভিয়াসাইড থাকে । এই স্টেভিয়াসাইড নামক পদার্থটিই চিনি অপেক্ষা ৩০০ গুন বেশি মিষ্টি। স্টেভিয়ার উপকারী দিকঃ ব্রাজিলের অধ্যাপক সিলভিয়ো ক্লাউডিও দা কস্তা মনে করেন, স্টেভিয়া ভোজ্যপণ্যের বাজারে এক বিপ্লব আনতে পারে৷ তিনি বলেন, “আমি গ্লাইকোসাইড, বিশেষ করে রেবাউডিয়োসাইড এর বিস্ময়কর গুণাগুণের কথা জানি৷ ২৫ বছর ধরে বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছি আমি৷ এটি একটি প্রাকৃতিক পদার্থ, যাতে ক্যালরি নেই, দন্তরোগের ঝুঁকিও কম৷” Ø ক্যালরিমুক্ত এই মিষ্টি, ডায়াবেটিক রোগী সেবন করলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ পরিবর্তন হয় না, তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চিনির সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক বিকল্প। Ø এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে, যকৃত, অগ্ন্যাশয় ও প্লীহায় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। Ø স্টেভিওসাইড অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরণে সহায়তা করে, ত্বকের ক্ষত নিরাময় ও দাঁতের ক্ষয় রোধ করে, খাদ্য হজমে সহায়তা করে, শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে, শরীরের সুস্থতা ও সতেজতাবোধ সৃষ্টি করে। Ø এটি ব্যাকটেরিয়া সাইডাল এজেন্ট হিসাবে কাজ করে, স্কিন কেয়ার হিসাবে কাজ করে বিধায় ত্বকের কোমলতা এবং লাবণ্য বৃদ্ধি করে, স্বাদ বৃদ্ধিকারক হিসাবে কাজ করে। স্টেভিয়ার ব্যবহার এবং বিতর্কঃ বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫ কোটি মানুষ স্টেভিয়া ও এর নির্যাস কাজে লাগায়, মিষ্টি জাতীয় খাবারে চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়, বিভিন্ন সময় চিনি রফতানিকারক দেশসমূহ ও সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো স্টেভিয়াতে বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে বলে প্রচারণা করলেও সাম্প্রতিক সময়ে USFDA (United
Read moreসবুজ রঙের কুসুমের ডিম দেখেছেন? যদি দেখে না থাকেন তাহলে খাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। নিশ্চয়ই সবুজ কুসুমের ডিমের কথা
Read moreগৌতম নায়েক ## মেঘ গুড়গুড় বাদ্যি বাজায় আকাশ দাদার বিয়ে, প্রকৃতি মা ঘরটি সাজায় কালোর কালি দিয়ে। আলোর বন্যা বইয়ে
Read moreগৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়, হৃদয়পুর, উত্তর ২৪ পরগনা ## “আহা কী আনন্দ আকাশে-বাতাসে……….” দর্শনমাত্রই আমার সমস্ত অন্তর যেন গলা ছেড়ে গেয়ে উঠল
Read more