সংরক্ষণ

তপনকান্তি মুখোপাধ্যায়, আরামবাগ, হুগলি     মরার কিছুদিন আগে মা বলেছিল, ‘ একলা থাকিস না, দোকলা হোস। ‘ আমি বলেছিলাম

 তাপসকিরণ রায়, ভিলাই, ছত্তিশগড়     আমি চিনি তোমাকে– এমনি মানুষের মত, ধোঁয়ার আকৃতিগুলি সরে গেলে এক শূন্যায়মান। তোমার অনুভব ঘুমিয়ে থাকে স্তব্ধ দুপুরের ভাত ঘুমে তুমি দূরে সরে যাও, তবু ঘু ঘু ডাক মনের মধ্যে পাখা নাড়ে…   একটা শব্দ আছে, বেঁচে থাকার– বুঝতে পারি আমরা বেঁচে আছি। আকাশ পানে তাকালে কিছু সরল রেখা, যেখানে পাখিরা হেঁটে গেছে। পালক শূন্যতার অনুভব অথচ চেয়ে ছিলাম পাখিদের মত উড়ে যেতে…

মঞ্জিমা গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিনিকেতন     নিংড়ে কতটুকু প্রাণ বাঁচে ছায়া ছাড়া অন্য কারো হিংসা মাখে না রোদ থুতনি আর উল্কিপোকা

পারমিতা ভট্টাচার্য, তারকেশ্বর , হুগলি    আজ সন্দেহের কালো চাদর ঢেকে নব উন্মোচিত প্রাণ , প্রাণ ভরে টেনে নেয় বারুদের গন্ধ ভরা শ্বাসবায়ু । জন্ম থেকেই শিশুরা পায় কাঁটা তারের আস্বাদ …. তাই –– পৃথিবী আজ বড় নিস্তব্ধ , কারণ তার কলজে তে ধরেছে টান …. তন্ত্রবীণারা করেছে ধর্মঘট তার সর্বাঙ্গে । এখন মৃত্যুর চেয়ে বড় সত্যি আজ আর কিছু নাই , আজ তাই পৃথিবীর একটা সুন্দর মৃত্যু দরকার …. যেখানে সবাই এক সাথে আমরা ডুবে যাবো শান্তির সমুদ্রে । যেখানে পৃথিবীর সর্বাঙ্গে হবে সবুজের সমারহ , যেখানে সদ্যজাত শিশু পাবে অক্সিজেনের শুদ্ধতা …. গর্ভবতী নারী পাবে তার স্বামীর হাতের অনুকম্পা , ——— কাঁটা তার পেরিয়ে ।

 অমিত বর কতগুলো বছর হয়ে গেলো কোনো খবর নেই ! যে ঠোঁটে এক সময় লাল লিপস্টিকের রং লেগে থাকতো সে

 দীপঙ্কর নস্কর, আসানসোল   মাঝি গেচে হাল চষতে কানা পাহাড়ের কোলে শাল পাতার খেজুর ঘরে মন কত কথা বলে।  

মানসী বিশ্বাস, সিঙ্গুর, হুগলি    আজকাল, নিজেরই নিজেকে দর্পনে দেখতে বড় বেশি ভয় হয়   থাক না অন্ধকার……   আমার

 অমলেন্দু বিশ্বাস   ও পাড়ায় সবাই কি ঘুমিয়ে পড়েছে! কেউ কি জেগে নেই?   তবে ওই জ্যোৎস্না স্নাত পথ বেয়ে

চৌধুরী নাজির হোসেন, বালি, হাওড়া   ঋতুপথ পরিক্রমা সেরে নিতে স্বর আর ব‍্যাঞ্জনের সন্ধিলগ্নে এসে দাঁড়াই, দেখি সূর্য ঢলে পড়ে

বাপ্পাদিত্য পাণ্ডে, আদ্রা, পুরুলিয়া   শীতের রাস্তা ভরায় দেখি যেমন ঝরা পাতা ব্যর্থ প্রেমিক তেমনি ভরায় ভরায় শূন্য মনের খাতা