মুখোমুখি
চয়নিকা
মাঝরাতে ঘুমটা হঠাৎ ভেঙে গেলো বুকের ব্যথায়, কোথায় আছি মনে করতে একটু সময় গেল, চোখ বুলিয়ে দেখলাম ঘরের নাইট ল্যাম্প টিমটিম করে জ্বলছে।ব্যথা ভাবটা কাটাতে আস্তে আস্তে উঠে বসলাম। বারান্দায় চোখ গেলো, ভাবলাম একটু বারান্দার খোলা হাওয়ায় বসি, ব্যথাটা কমতে পারে। বারান্দায় বসে রইলাম অনেকক্ষণ, দূর থেকে বয়ে আসা মিষ্টি হাওয়াটা বেশ লাগছিলো।
একটু একটু ঘুম ভাব আসছিলো আবার, বুকের ব্যথাও নেই আর, তাই শুতে যাবো ভেবে উঠলাম বারান্দার চেয়ার থেকে। ঘরে এসে বুকটা ধক করে উঠলো, টিমটিমে নাইট ল্যাম্পের আলোয় দেখি আমার বিছানায় চাদর গায়ে কে শুয়ে। ভয়ে ভয়ে পা টিপে সুইচ বোর্ডের কাছে গিয়ে কাঁপা হাতে টিউবলাইটের সুইচ দিলাম।
অন্ধকারে চোখ সয়ে গিয়েছিলো তাই আলো জ্বালতেই কেমন জানি কষ্ট হল, একটু সামলে নিয়ে বিছানার দিকে দেখলাম। বিছানায় যে শুয়ে রয়েছে তার মুখ যেন ব্যথায় বেঁকে গেছে, তবু পরিষ্কার চেনা যাচ্ছে, এটা আমি।
তবে আমি কে!