ইচ্ছেপূরণ
সোনালী দে, পঞ্চানন তলা লেন, কলকাতা
হার্টডিক্সের হৃদয় ভরা প্রযুক্তি বিদ্যা নয়।
বরণীয় দারিদ্রকে স্মরণীয় রাখার দুর্বার আকাঙ্খা নয়।
ছোট্ট ইচ্ছে, সাধ পূরণের ইচ্ছে, মন ভরানোর ইচ্ছে,
কর্তব্যের ইচ্ছে।
সাজিয়ে রেখেছে মনের ক্যানভাসে দুটি রাঙা চরণ।
সন্ধি পূজোর সন্ধ্যেতে চাই ১০৮টি পদ্ম।
১০৮ প্রদীপ মালার আলোয় আলো করে অষ্টমীর নৈবেদ্য।
ভোজপুর স্টেশনের পাশের খাল ভরে গিয়েছে পদ্মফুলে।
নির্মল ভোরে টিনের ডোঙায় পদ্মপূরণ।
ডোঙা ভরে পদ্মসজ্জা।
ঠিক গত বছর, কাঙাল কেউটের কামড়ে এগারো দিন যুদ্ধ।
বাঁ পা টা এখনো টন টন করে।
তবু পদ্ম প্রীতিতে, স্বপ্ন টান টান।
ভিটে মাটি গেছে বাস অন্যের আশ্রয়।
হৃদ কমল এ ফোঁড় ও ফোঁড় করে দারিদ্রের তীক্ষ্ণ শলা।
তবু ইচ্ছেটা বায়না করে,
আগুন বাজারে নতুন জামার মূল্য পুড়ছে।
অষ্টমীর অঞ্জলীর আগেই পৌঁছতে হবে,
নতুন জামা নয়, নির্মলের নিজের হাতের
সবচেয়ে বড় পদ্ম ফুল নিয়ে।
নাতনি ইচ্ছেটার ইচ্ছেপূরণ হবে, দাদুর ইচ্ছেপূরণের সাথে।
মন্দির মুখরিত কাঁসর ঘণ্টায়।
দেবী দুর্গার মুখে স্মিত হাসি,
‘শান্তি রূপেন সংস্থিতা’।।