বিকল্পের সন্ধানে
নিত্যানন্দ খাঁ
ফেরারি উষ্ণায়নের ঘেরাটোপে, আমার কবিতা বড় হয়েছে –
ডালপালা, কাঁটাঝোপ নিয়ে।
হঠাৎ সন্ধিক্ষণে, সে যদি আবদার করে, তোমার হাতের স্পর্শ
যদি চায় মুছিয়ে নিতে কপালের ঘাম, তোমার হিমশীতল আঁচলে –
তুমি করবে, করবেই এই ভীমরতির চোরা স্রোতে স্নান।
কলির সন্ধ্যাবেলা,
এমনি দুরন্ত আবদার, বেয়ে ওঠে আপাদমস্তক।
একেই বলা হত, বহু যুগ আগে
প্রণয়ের প্রথম দশা, শরীরী মিলনের পুরোভাগে।
সেই ভাষা মুছে গেছে বহুবার প্রতিদিন অনুপল, ক্ষণে ক্ষণে।
আবার দারুণ দিনে ভর করে এসেছে কোন কবির বারতা হয়ে।
দুরন্ত কলমে, বেলাশেষে অকৃত্রিম রাগ, দুঃখ, শোকে,
নিজেকে সীমিত করে, মাধুকরী হয়ে।
এই ভাঙাগড়ার সাক্ষী আমি।
যেন এক দুর্ভেদ্য অন্ধকার, কোটি মন্বন্তর জুড়ে।
বয়ে এনেছি নিজের দেহ।
মেদ-মাংস-অস্তি-মজ্জা, ম্রিয়মাণ সগৌরবে।
তবু টিকে আছি বাঁচার অছিলায়।
গাঙুর শুকিয়ে গেছে কবে, কোপাই এখন ভরাট যুবতী।
তোমার হাতেও নেই সবিশেষ কাজ।
শুনেছি তোমায়,
অভ্যাসের অবসর বিরক্ত করে মাঝে মাঝে,
এই তো সময় ভেসে যাওয়ার –
আমার প্রাচীন দেহ দু’হাতে ভরে।
তুমি না হয় নিও বেহুলার ভূমিকা।
আর আমি
অন্তত একবার শান্তিতে গা ভাসাবো
আসন্নকালের লখিন্দর হয়ে।