নষ্টজিন
বিকাশকুমার সরকার, বাদকুল্লা, নদিয়া
গায়ে পড়া নই আমি তোমার মনে পড়া
চিন্তা সূত্র মিলিয়ে দেখ সুরে বাজছে হিসাব।
ত্বক বেয়ে ঝরে পড়ছে তন্ময় অশ্রু
ভিজে যাচ্ছে আহত উপমা
তবু মনযোগী আমার উদাহরণ তুমি
প্রকাশের আগেই বীজপত্রের মতো গর্ভে ছড়াচ্ছ শেকড়
যদিও পৃথিবীর মাংস মাটি থেকেই জীবনের জন্ম
নেশা গুলানো রঙিন তরলের নেচার যেমন ভয় দেখানো
চুম্বকের মতো বিপরীতকামী তার নির্ধারিত দিক
শুধু নিরাপদ বলয়ের টোপ দিয়ে বানিয়ে রাখছে আমাদের ভাবতে পারা পাথর
যেভাবে চাহিদার নাম হয়ে যায় অপর স্বপ্নে শুয়ে থাকা সম্ভব করা পশু
ফারাক করতে না পারা এসব নিয়ে তবুও সে ভাবছে শুধু
গোধূলির জন্য ধরাবে একটা সাজাল
যদি গলিয়ে দিতে পারে তার শীতের তীব্রতা
তাহলে জাকিয়ে বসতে পারবে পরিণত বর্ষায় …
আসলে নিরাকার এমন বিরহের প্রকৃত বিপরীত জল
ভুলে যায় অসীম সে উচ্চতার পরিষ্কার সাড়ে তিন হাত মাপ—
আস্ত একটা সমুদ্র যখন তখন ভরে ফেলতে পারে বোতলে
তারপরও নীরব নিয়তির বলে পার হয়ে যাচ্ছি যেকোনো গতি
রাস্তায় নেমে তাড়িয়ে-তাড়িয়ে উপভোগ করছি বিজেতার হাসি
এখন গায়ে পড়ার অভিযোগ থেকে তুমি আমাকে রেহাই দিতে পারো
তোমার মনে পড়া আমি যখন দিয়েই যাচ্ছি লিখিত এই প্রতিশ্রুতি।