আমড়াতেও সুস্থ আমরা!

মাঝারি আকারের পর্ণমোচী জাতীয় একপ্রকার ফল আমড়া। এ ফল সাধারণত কাঁচা থাকতে বেশ টক বা টক মিষ্টি হয়। তবে পাকলে টক ভাব কমে আসে এবং খুব মিষ্টি হয়ে যায়। ফলের বীজ কাঁটাযুক্ত। কাঁচা ও পাকা, রান্না করে এবং আচার বানিয়ে খাওয়া হয় আমড়া। সাধারণত আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত এই ফল পাওয়া যায়। আমড়ার উপকারিতাও কিন্তু হেলাফেলার নয়।

আমড়া কষ ও অম্ল স্বাদযুক্ত ফল। এতে প্রায় ৯০ শতাংশ জল, ৪-৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট ও সামান্য প্রোটিন থাকে। ১০০ গ্রাম আমড়ায় ভিটামিন-সি পাওয়া যায় ২০ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ২৭০ মাইক্রোগ্রাম, সামান্য ভিটামিন-বি, ক্যালসিয়াম ৩৬ মিলিগ্রাম, আয়রন ৪ মিলিগ্রাম। আমড়ায় যথেষ্ট পরিমাণ পেকটিন জাতীয় ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান থাকে।
প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানে সমৃদ্ধ আমড়া আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকার সাধন করে। রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় আমড়া। হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ফল।

মাঢ়ি ও দাঁতের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে আমড়া সাহায্য করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, যা বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। খিঁচুনি, পিত্ত ও কফ নাশক হিসেবেও আমড়ার ব্যবহার রয়েছে।
আমড়ার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। অরুচি ও শরীরের অতিরিক্ত উত্তাপকে নিষ্কাশনে সাহায্য করে আমড়া।
আমড়ার এত গুণের কথা সেভাবে জানা ছিল না নিশ্চয়। এবার বাজারে গেলে একবার আমড়ার দিকেও খেয়াল রাখবেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − 1 =