আয়ু
জয়ীতা চ্যাটার্জী, শ্যামনগর, উত্তর ২৪ পরগনা
সব কৃতজ্ঞতা পিছনে ফেলে সময় এগিয়ে যায় সময়, সময়কে উপেক্ষা করে।
অরণ্য হারায় ছায়া ব্যাকুলতাহীন ধ্বংসের মন্ত্র জেনে।
পরিক্রমণের ঘূর্ণাবর্তে যেখানে নক্ষত্র হারিয়ে যায় নিজের মতন করে।
সে রক্তিম আলো ফেরে না আর আকাশ পথে ফেরার ঠিকানা জেনে।
আকাশ ও রাখেনি খোঁজ শেষ প্রহরের আগে।
শূন্যতা সে তো বয়সের ভুল নয়, সময় হারালে আঁচ ও তখন পাথর হতে জানে।
যত দূর চোখ যায় দিন চলে যায় দূর থেকে বহু দূরে।
মূহুর্তের আড়াল ঠেলে ছুটে আসে,
হিংস্রতা হত্যার ইতিহাস জুড়ে। জীবনের ভাষা অবিচল থাকে স্মৃতির ধূলো মাখা নিরুদ্বেগ হাত।
পৃথিবীর ভাষা যদি স্নেহ ভালবাসা, আকাশ ফিরিয়ে দিক নক্ষত্রের রাত।
যদিও রাত্রি খুবই কাছে দাঁড়ায় আমার,
তবু খুজেঁনি তন্নতন্ন করে যে কথাগুলো বাকি ছিল ফিরিয়ে দেওয়ার।
অন্ধকারে যারা আজও চুপ করে থাকে জীবনের শেষ অধিকারে, তারাই দাঁড়িয়েছে এসে
আকাশের নীচে রক্ত আর অশ্রুর নোনতা দায়ভারে।
আঘাতরাও খোঁজেনি যুক্তি, দিনের আলো লুকিয়েছে ভুল ঠিক।
নিজেস্ব কবিতারা আজ চিনে নিক নির্জন পাহাড়ের আহত সব দিক।