একটা সাদা লালের গপ্পো

সুপ্রতীক বণিক

 

কলকাতা তখন গ্রীষ্মের প্রকোপে তপ্ত
আর রোদে আর খিদেয় আমরা জব্দ
মাথায় নব্য পণ্যের বোঝা সামান্যই কমেছে
সরকারের পরিবর্তন তখনও এত পরিবর্তন আনতো না
আমি বারো আর মা বোধ করি একত্রিশ,
যদিও রাজপথে আক্ষরিক অর্থেই গাড়ি-ঘোড়া কম
তবু দুজনেই ক্লান্ত সধবার প্রসাধনী বেচতে বেচতে
আমি ছোট থেকেই বাবা ডাকতে পারিনি কাউকেই
চালের অভাব হলেও ফুটপাথেই নিশ্চিন্তে শোয়া যেত
দিন যাচ্ছে আর আমি বড়ো হচ্ছি, মা কিন্তু একই,
মা কখনো দোকান থেকে কিনে শাখা পলা পরেনি
বলা হয়নি-মাঝে মাঝে বিশ্যুদবার দেখে এক মহিলা আসতেন
মা এর থেকে শাখা পলা কিনতে, ফিটন গাড়ি চেপে
মূল্য দিতেন সামনে বসা, রোদ-চশমা পড়া একজন ।
আজ বিশ্যুদবার-বৈঠকখানা মোড়ে এক ভয়ানক দুর্ঘটনা
সেই ফিটন গাড়ি দুমড়ে মুচড়ে এক জটলা লোকের মাঝে
রক্ত ছিটিয়ে পড়ে আছে-সাথে ওঁরা দুজন..চালক নেই।
মা কেন যেন কান্নায় আত্মহারা..সাথে সাথে সেই ফুটপাথে
হাত ঠুকে হাতের সধবা প্রসাধনীর সৎকার করলো..

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 2 =