চিন অচিন
তাপসকিরণ রায়, ভিলাই, ছত্তিশগড়
আমি চিনি তোমাকে–
এমনি মানুষের মত,
ধোঁয়ার আকৃতিগুলি সরে গেলে
এক শূন্যায়মান। তোমার অনুভব ঘুমিয়ে থাকে
স্তব্ধ দুপুরের ভাত ঘুমে
তুমি দূরে সরে যাও,
তবু ঘু ঘু ডাক মনের মধ্যে পাখা নাড়ে…
একটা শব্দ আছে,
বেঁচে থাকার–
বুঝতে পারি আমরা বেঁচে আছি।
আকাশ পানে তাকালে
কিছু সরল রেখা, যেখানে পাখিরা হেঁটে গেছে।
পালক শূন্যতার অনুভব
অথচ চেয়ে ছিলাম পাখিদের মত উড়ে যেতে…
জানি না পরদেশ–
কলের পুতুলের মত চলাচল,
সকাল বিকেল সন্ধ্যে,
তবু রাতের স্তব্ধতার একটা আওয়াজ আছে।
কিছু ঘ্রাণ ছড়িয়ে আছে–
প্রাণীজ শরীরের ঘ্রাণ,
ঘুমিয়ে থাকে কৌশল্যার গর্ভ–
আমরা তা জানি না।
কখনও দুর্দান্ত কিছু ঘামের মধ্যে
দেহ, আবার দেহের শূন্যতা,
টিপে টিপে দেখাগুলি হারিয়ে যায়,
স্থাবর হাতের পৃষ্টভূমি সরে যায়–
চোখের পাতা তখনও কল্পলাল, অবাস্তব,
তবু দুর্দান্ত স্বপ্নভাস!