জয়রথ
অর্জুন
জানি না কি করি,
বাসি খিচুরী খেয়ে কাজে যাই।
খালি পায়ে মজদুরি,
সুড়সুড়ি আবেগী ভাষণ।
আসন পেতে মহা ভোজ।
নিখোঁজ লাশ,
অবকাশ নেই খোঁজার।
বোঝার সময়হীন,
বহুদিন আহারে,
বাহারে উৎসব চলে।
ছলে বলে কৌশলে,
মগজ ধোলাই।
বাংলা চোলাই,
গরীবের খুন,
বেগুন বাজারে পোকা।
কোচি খোকা ধর্ষণ করে।
ধর্ষিতা মরে।
তবুও চুপ,
খুব সুখ ডানা বেঁধেছে।
মরতে মরতে বাঁচে।
জ্ঞানী গুনিজনে,
গোপনে অষ্টাদশী।
কাল একাদশী,
গঙ্গাজলে ধুলে,
যাবে চলে চরিত্রের দাগ।
বাঘ খায় না বাসি মাল,
ছাড়া ছাল,
কম দামে রেশনে চাল।
আর কত ভাই,
স্লোগানে ভাষণে ভালো থাকা যায়।
হল রাত,
ক্যায়া বাত,
ঢালো রঙিন জল।
কলকল শব্দে উল্লাসে ভোগে,
মদ মাগী মাংস সহযোগে।
নানা রোগে,
ভোগে সমাজ।
চোখ বন্ধ অন্ধ সব,
শবদেহ সাজানো শহর।
মিটিং মিছিলের বহর।
হারে হারে ধরেছে ঘুন,
আগুন চারিপাশে।
একে একে কমছে,
আবেগ বিবেক দমছে।
লম্পট সম্পদ,
ভগবান হয়ে বসছে।
শুধু বাড়ছে গতি,
কি জানি নিয়তি,
কোথায় নিয়ে যায়।
হায়রে হায় বোকা বেনে যায়।
ভাবি আসছে দিন,
আচ্ছে দিন।
চিন্তাহীন,
আয়েসে কাটবে।
ছাটবে কর্মী,
মর্মীস্পর্শ অজুহাতে।
তবুও বলছে,
চলছে লড়াই এগিয়ে যাওয়ার।
না পাওয়ার ভয় ভুলে,
দুহাত তুলে প্রতিবাদ।
দিবারাত খোলা চোখ,
হাজারো লোক,
নেমেছে পথে।
জয়রথে।