ডায়াবেটিস রোগীরাও আম খেতে পারবেন

গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে স্বাদ ও পুষ্টিতে আম সব থেকে এগিয়ে। আর এ কারণেই ফলের রাজা আম। আমের মিষ্টি ঘ্রাণ ও স্বাদ নিতে অনেকেই সারা বছর গ্রীষ্মের অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু এ দুটি গুণ ছাড়াও আমের আছে বহু উপকারী দিক। তাই তো পুষ্টিবিদেরা বলেন, মৌসুমি এ ফলের পুষ্টি সব বয়সী মানুষের জন্যই প্রয়োজন। এমনকি ডায়াবেটিস রোগীদেরও আমের পুষ্টিগুণ থেকে দূরে থাকার প্রয়োজন নেই।

ক্যালরি
যাঁদের শারীরিক দুর্বলতা আছে বা একটু কাজ করলেই ক্লান্ত হয়ে পড়ার অবস্থা হয়, তাঁরা আমের বিকল্প পাবেন না।

বিটা ক্যারোটিন
মৌসুমি এ ফল বাহারি রঙের। এই রঙের কারণে এতে থাকে বিটা ক্যারোটিন। বিটা ক্যারোটিন কিন্তু ক্যানসার প্রতিরোধক উপাদান।

আঁশের উপকারিতা
এক কাপ আম থেকে তিন গ্রাম আঁশ পাওয়া যায়, যা যেকোনো বয়সের সুস্থ–স্বাভাবিক মানুষের জন্যই দরকারি। তবে কিছু নিদিষ্ট ধরনের অসুখেই শুধু আঁশযুক্ত খাবারে সমস্যা হতে পারে। আমের আঁশ প্রোবায়োটিক নামে পরিচিত, যা পাকস্থলী ক্যানসার, কোলেস্টেরল ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় কাজে আসে।

আয়রণ
আমে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ। মাসিক বা গর্ভবতীকালীন শরীরে আয়রণের পরিমাণ কমে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক একটা সমস্যা । তাই এ সময় প্রচুর পরিমাণে আম খেয়ে আয়রণের ঘাটতি সহজেই পূরণ করা সম্ভব।

ভিটামিন সি
ভিটামিন সি-এর অভাবজনিত রোগে যাঁরা ভোগেন, তাঁদের জন্য আম হতে পারে আদর্শ খাবার। এ ছাড়া দাঁতের সমস্যা, মুখে ঘা ও বিভিন্ন রকম ছোঁয়াচে রোগ কমাতে সাহায্য করে আম। আবার শরীরের কাটাছেঁড়া সারাতেও সাহায্য করে কাঁচা আমের ভিটামিন সি।

কার্বোহাইড্রেট
আম কার্বোহাইড্রেটে পরিপূর্ণ ফল। ১০০ গ্রাম আমে ২০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট বিদ্যমান।

ভিটামিন
রঙিন এ ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ। এটি চোখের জন্য অত্যন্ত কার্যকর একটি উপাদান। শুধু এক কাপ পাকা আম খেয়ে সারা দিনের ভিটামিন এ-এর চাহিদার ২৫ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব।

ডায়াবেটিস রোগীরা কেমন করে আম খাবেন
আমের মিষ্টতায় রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়ে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যে ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তবে কিছু নিদিষ্ট পরামর্শ মেনে ডায়াবেটিস রোগীরা আমের স্বাদ নিতে পারেন।

আমে থাকে কার্বোহাইড্রেট আর প্রোটিন। আর এ দুটি উপাদান মিলিয়ে খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের হঠাৎ সুগার বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কম। ডায়াবেটিস রোগীদের দিনের শুরুতেই খেতে হবে আম। এতে সারা দিনের পরিশ্রমে আমের সুগার ডায়াবেটিস বাড়াতে পারবে না। রাতে ঘুমানোর আগে আম খাওয়া ঠিক নয়।
যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের দিনে একটির বেশি আম খাওয়া উচিত নয়। আর যাঁদের ডায়াবেটিসের মাত্রা কম, তাঁরা অন্য খাবার কমিয়ে আম খেতে পারবেন।
মিষ্টি আমে গোলমরিচ বা লেবুর রস মিশিয়ে জুস করে খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো।

আবার আমের সঙ্গে আরও কিছু ফল, যেমন আনারস বা নাশপাতি মিশিয়ে খেলে সরাসরি আমের মিষ্টির প্রভাব পড়বে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 5 =