দাড়ি কামাতে সোনার ক্ষুর
ব্যবসা চালাতে নানা ধরনের কৌশলের আশ্রয় নিতেই হয়। ক্রেতা বা গ্রাহক টানতে অনেকেই দিয়ে থাকেন বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা। তবে এবার সেলুন ব্যবসায় অভিনব কৌশল বেছে নিলেন এক নরসুন্দর। গ্রাহক টানতে তিনি সেলুনে এনেছেন সোনার ক্ষুর। পুনে সংলগ্ন পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় শহরের ওই সেলুনে প্রত্যেক গ্রাহকই ‘স্পেশাল’! তাই গ্রাহকের গোঁফ দাড়ি ছাঁটা বা কামানোর কাজে আট তোলা ওজনের সোনার ক্ষুর ব্যবহার করছেন ওই সেলুনের মালিক অবিনাশ বরুন্ডিয়া।
অবিনাশের এই অভিনব ভাবনা বেশ হইচই ফেলে দিয়েছে নেটদুনিয়ায়। আচমকাই প্রচারের আলোয় উঠে এসেছেন তিনি। প্রায় ৮০ গ্রাম ওজনের ওই সোনার ক্ষুরটি কিনতে চার লাখ টাকা খরচ হয়েছে অবিনাশের। হঠাৎ করে সোনার ক্ষুরই বা কিনতে গেলেন কেন? অবিনাশের দাবি, তার সেলুনে আসা প্রতিটি গ্রাহকই ‘স্পেশাল’। গ্রাহকদের স্পেশাল মনে করেন বলেই সোনার ক্ষুর ব্যবহার করা শুরু করেছেন তিনি। তার সেলুনে যে সোনার ক্ষুরে গোঁফ দাড়ি কাটা যায়, সে কথা ঘটা করে প্রচারও করছেন অবিনাশ। এমনকি, সম্প্রতি সেলুনের উদ্বোধনে স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতাকে আমন্ত্রণ জানান তিনি। এমন প্রচারে ফলও পাচ্ছেন অবিনাশ। ধীরে ধীরে হলেও পসার বাড়ছে।
তবে করোনাকালে পসার বাড়ানো তো দূরের কথা, ব্যবসা লোপাট হওয়ার দায় হয়েছিল অবিনাশদের মতো ছোট দোকানিদের। লকডাউনের সময় দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ব্যবসা। ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল হওয়ার পর সব কিছুর মতোই ফের খুলেছে দোকান-বাজার, রেস্তরাঁ-সেলুনও। তারপর থেকে গ্রাহক টানতে উঠেপড়ে লেগেছেন অবিনাশের মতো ব্যবসায়ীরা। সেলুনে লোকজনের ভিড়ের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের নজরেও পড়েছেন অবিনাশ। সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেছেন, “সোনার ক্ষুর দিয়ে গোঁফদাড়ি কামানোয় সাধারণ মানুষজন নিজেকে ‘স্পেশাল’ বলে মনে করবেন। যাদের বেশি টাকাপয়সা নেই, তারাও সোনার ক্ষুর দিয়ে গোঁফ দাড়ি কামাতে পারবেন।” অবিনাশের চার লাখ টাকার ক্ষুরে গোঁফ-দাড়ি কামাতে গ্রাহকদের খরচ মাত্র ১০০ টাকা।