পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্থল

পলাশ মুখোপাধ্যায়

বেড়ানো মানেই কি অনেক দূরে বোঁচকা বেঁধে সদলবলে যাওয়া? ঘরের কাছেই আছে নানা মণি মাণিক্য যার অনেক কিছুই আমাদের অজানা বা অদেখা। বিশ্বকবির চেয়ে আমাদের আর ভাল চেনে কে? তিনি তাই অনেক আগেই বলে রেখেছেন “দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া…”। তেমনই একটি মাণিক্যের খোঁজে আজ আমরা যাব ঘরের কাছেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্থলে। চমকে গেলেন নাকি? আমাদের গন্তব্য উত্তর ২৪ পরগণার গোবরডাঙ্গা।

শিয়ালদহ থেকে বনগাঁ লোকাল বা গোবরডাঙ্গা লোকালে উঠে বসলেই হল। ঘন্টা দেড়েক পরে নামিয়ে দেবে গোবরডাঙ্গায়। কলকাতা থেকে বাসে সরাসরি আসার বন্দোবস্ত নেই। হাবড়ায় এসে বা বারাসত থেকে বাস বদলাতে হয় গোবরডাঙ্গা যেতে হলে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, সামাজিক চেতনা বোধে অনেকদিন ধরেই এ শহর নিজস্ব জায়গা করে নিয়েছে। বহু বিখ্যাত মানুষের জন্ম এবং পদধূলিতে ধন্য এ শহর। গোবরডাঙ্গা  স্টেশনে নামলেই চোখে পড়বে স্টেশন জুড়ে নাটক বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যানার বা পোস্টার। যা এই শহরের সংস্কৃতি চর্চার ধারাবাহিকতাকে ইঙ্গিত করে। এবারে বলি পৃথিবীর শ্রেষ্ট স্থল বললাম কেন; স্থানীয় মানুষের বক্তব্য; গো অর্থে পৃথিবী, বর অর্থে শ্রেষ্ঠ এবং ডাঙ্গা অর্থে স্থল। সব মিলিয়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্থল গোবরডাঙ্গা। গোটা শহরে ঘুরতে চাইলে একটা টোটো ভাড়া করে নেওয়াই ভাল। বড় শহর তাই পায়ে হেঁটে পুরোটা ঘোরা মুশকিল।

আমি বেরিয়েছিলাম সাত সকালে, তাই গোবরডাঙ্গা নামতেই পেটের মধ্যে আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছে। স্টেশন চত্বরে প্রচুর দোকান, সেখানেই একটা থেকে সকালের পরটা তরকারি এবং নলেন গুড়ের মাখা সন্দেশ সহযোগে প্রাতরাশ সারা হল। স্টেশন চত্বরে প্রচুর টোটো, দাম দর করে একটাতে চেপে বসলাম। দ্রষ্টব্যের তালিকা আগেই পেয়ে গিয়েছিলাম এক বন্ধুর কাছ থেকে, সেই অনুযায়ী শুরু হল চলা। আমাদের প্রথম গন্তব্য খাঁটুরার চণ্ডীতলা।

১৮৩১ সালে গোবরডাঙ্গার খাঁটুরায় জন্মগ্রহণ করেন শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন। সংস্কৃত কলেজের কৃতি এই ছাত্র ছিলেন বিদ্যাসাগরের স্নেহধন্য, পরে বিদ্যাসাগরের ইচ্ছায় দেশে প্রথম বিধবা বিবাহ করেন শ্রীশচন্দ্রই। ১৮৫৬ সালের ৭ ডিসেম্বর কলকাতায় এই বিবাহ হয়। এক সময় গোবরডাঙ্গা পুরসভার চেয়ারম্যানও হন। ১৮৬৮ সাল নাগাদ চণ্ডীতলায় মায়ের স্মৃতিতে জোড়া শিব মন্দির স্থাপন করেন কঙ্কনা বাওড়ের ঘাটে যাওয়ার পথে। শ্রীশচন্দ্রের বাড়িটি আর নেই, রয়েছে মন্দির এবং সংলগ্ন ঘাটটি।

 

 

 

 

 

 

 

কঙ্কনা বাওড় সবুজে ঘেরা একটি জলাশয়। একসময় এটি চালুন্দিয়া নদীর অংশ ছিল, পরে তা অশ্ব ক্ষুরাকৃতি হ্রদে পরিনত হয়। শোনা যায় এই জলাশয়ের এক ধারে থাকবেন দেবী চণ্ডী ওপারে থাকতেন তার বোন শীতলা। বোনের বাড়ি যাওয়ার পথে কোনও এক দিন দেবী চণ্ডীর কঙ্কন এখানে পড়ে গিয়েছিল বলে এই জলাশয়ের নাম কঙ্কনা হয়। তবে দুপারেই চণ্ডী এবং শীতলা মন্দির আজও আছে। এছাড়াও জলাশয়টির আকৃতিও অনেকটা কঙ্কন বা কাঁকনের মতই প্রায় গোলাকৃতি। যমুনা নদীর সঙ্গে রত্না খালের দ্বারা যোগাযোগ আছে এই জলাশয়ের। শীতের নরম রোদে কঙ্কনার পাড়ে বসে থাকতে বেশ লাগছিল। স্থানীয় মাঝিদের বলে নৌকা চড়বারও উপায় আছে এখানে।

টোটো চালকের দাবী মেনে এবার আমরা যাচ্ছি গোবরডাঙ্গা পোলট্রিতে। তার কাছেই শুনলাম এটি নাকি এক সময় খুব বড় ছিল। ১৯৬২ সালে স্থানীয় জমিদার রত্নেশ্বর পাঁড়ে ও মনমোহন পাঁড়ের দেওয়ান বাড়ি ও সংলগ্ন জমি অধিগ্রহণ করে এই পোলট্রি তৈরি হয়। টোটো চালকের মতে এটা নাকি এশিয়ার সব চেয়ে বড় পোলট্রি ফার্ম, কিন্তু সরকারী ভাবে এই বক্তব্যের তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। এখন সেই গরিমা বা জৌলুস নেই, কোনও মতে জিইয়ে আছে মাত্র। কিন্তু পোলট্রি চত্বরটা বেশ সুন্দর। অনুমতি নিয়ে ভিতরে ঢুকতেই প্রাণ জুড়িয়ে গেল। এত গাছপালা, সবুজ, নিরিবিলি চমৎকার পরিবেশ। ওপাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে কঙ্কনা বাওড়। ধন্যবাদ দিলাম টোটোচালককে এখানে নিয়ে আসার জন্য। ও কাছেই আরও একটা পার্কের কথা বলছিল কিন্তু সময়াভাব এবং ভিড়ের ভয়ে সেখানে আর গেলাম না আমি।

 

 

 

 

 

 

 

এবার আমাদের গন্তব্য গোবরডাঙ্গা বাজার ছাড়িয়ে কালীবাড়ি এলাকা। এখানেই রয়েছে বেশ কয়েকটি দ্রষ্টব্য। প্রথমেই এলাম সূর্য ঘড়ি দেখতে। ১৮৬৮ সালে তৈরি হয় সূর্য ঘড়ি। গোবরডাঙ্গার জমিদার সারদা প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সেই সময় শিক্ষা বিভাগের ডিরেক্টর উড্রো সাহেব এটি বানান। দক্ষিন দিক থেকে এই ঘড়ি দেখার নিয়ম। পশ্চিমবঙ্গে যে কটি সূর্য ঘড়ি আছে তার মধ্যে এটিই সব চেয়ে বড়।

 

 

 

 

 

 

 

 

পাশেই রয়েছে প্রসন্নময়ী কালীবাড়ি। গোবরডাঙ্গার জমিদার খেলারাম মুখোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় স্ত্রীর কোনও সন্তান ছিল না, কালীর স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে তিনি সন্তান লাভ করেন। দেবী প্রসন্ন হওয়াতে সন্তান লাভ বলে ছেলের নাম দেন কালীপ্রসন্ন। খেলারাম এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ১৮২২ সালে ১১ এপ্রিল বর্তমান কালীবাড়িটির উদ্বোধন করেন জমিদার কালীপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়। সেই থেকে জমিদার বাড়ির প্রত্যেক পুরুষ সন্তানের নামের পরে প্রসন্ন শব্দটি বসে।

রাস্তার অপর দিকেই জমিদার বাড়ির কিয়দংশ। মূল জমিদার বাড়িটি আগেই ভাঙ্গা হয়ে গিয়েছে। এখন যেটি রয়েছে তা বড় তরফের অংশ বলে পরিচিত। ১৯১৪ সালে এটি অতিথিশালা হিসেবে এটি ব্যবহার শুরু হয়। পরে তা ভাগাভাগিতে বড় তরফের সন্তান গিরিজা প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ভাগে পড়ে। সেই থেকে এখানে বসবাস শুরু হয়। তবে সব সময় এখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। গেটে তালাই দেওয়া থাকে। আমার ভাগ্য সুপ্রসন্ন, তাই গেট খোলা পেয়ে ঢুকে পড়েছিলাম। আর পাঁচটা জমিদার বাড়ির মতই বড় ইমারৎ। সামনে ফোয়ারা। আরও খানিকটা এগিয়ে একটা পরিখা, মাঝে ছোট্ট একটা দ্বীপের মত। এখনও জমিদারদের বংশধররা থাকেন এখানে তাই ভিতরে আর যাওয়া গেল না। দুর্গাপুজো হয় এখানে তখন সকলের জন্য মূল দরজা খুলে দেওয়া হয়।

সামনে দিয়েই বয়ে চলেছে যমুনা নদী। জমিদার বাড়ি থেকে বেরিয়ে এবার গেলাম যমুনার দিকে। সেতুর উপর থেকে দেখতে ভারি সুন্দর লাগে। ছোট নদী, দুপাশ সবুজে মোড়া। তবে কচুরিপানার আধিপত্য নদীর স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে বড়ই বিঘ্নিত করেছে। নদীর ধার ঘেঁসে রয়েছে একটি বড় মাঠ, সেখানে নাকি ১ লা বৈশাখে বিরাট মেলা বসে। সবুজ ঘাসে ভরা মাঠে নদীকে পাশে রেখে হাঁটতে মন্দ লাগছিল না। বেলা হয়ে আসছে তাই এবার তাড়া দিল সারথি।

এখান থেকে যাব পাশের গ্রাম ইছাপুরে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম প্রাচীন মন্দির ও টেরাকোটা স্থাপত্যের নিদর্শন ইছাপুর দোলখোলার গোবিন্দ মন্দির। বহু যুগ পূর্বে জনৈক ব্রাহ্মণ পণ্ডিত রাঘব সিদ্ধান্তবাগীশ ইছাপুরে (তৎকালীন নাম কুশদ্বীপ) জমিদারি পত্তন করেন। এক দিকে যমুনা, অন্য দিকে চালুন্দিয়া নদী দিয়ে ঘেরা ছিল ওই জনপদ। ১৫৮০-৮৩ সাল নাগাদ মোঘল সম্রাট আকবরের বশ্যতা স্বীকার করেন রাঘব। রাজানুকুল্যে তিনি ‘চৌধুরী’ উপাধি পান। তাঁর পৌত্র রঘুনাথ ১৬৫১ সাল নাগাদ ওই ত্রিতল গোবিন্দ মন্দিরটি তৈরি করেন।

মন্দিরের গায়ে রয়েছে অপূর্ব টেরাকোটার কাজ। দেওয়ালে দেবদেবী, কৃষ্ণলীলার দৃশ্য। রয়েছে নানা জ্যামিতিক নকশাও। রাজ্য হেরিটেজ কমিশন মন্দিরটিকে ‘হেরিটেজ’ ঘোষণা করেছে। মূল মন্দিরের তিন ভাগের একভাগ এখন দেখতে পাওয়া যায়। মন্দিরটির ন’টি চূড়া থাকার কারণে একে নবরত্ন মন্দিরও বলা হয়। স্থানীয় মানুষ এই জায়গাটিকে দোলখোলা হিসেবেও চেনেন।

আসার পথেই পড়ল হাসপাতাল। শুনলাম এত সুন্দর পরিকাঠামো থাকা স্বত্বেও কোনও এক অজ্ঞাত কারনে প্রায় বন্ধ এই হাসপাতাল। এখানকার লোকের ভরসা ১০ কিলোমিটার দূরে হাবরা না হলে বারাসত, কলকাতা। এরপরে বাঁদিকে বহু প্রাচীন গোবরডাঙ্গা হিন্দু কলেজ। স্টেশনে এনে নামিয়ে দিল টোটো। ঘড়ির কাঁটা বলছে ইতিমধ্যেই প্রায় আড়াইটে বাজে। ষ্টেশনের পাশেই একটা হোটেলে ভাত মাঝের ঝোল সহযোগে মধ্যাহ্ন ভোজন সেরে ফেললাম।

কি ভাবছেন এখানেই ভ্রমণ শেষ। আজ্ঞে না পিকচার আভি বাকি হ্যায়… গোবরডাঙ্গার ঠিক পরের স্টেশন হচ্ছে ঠাকুরনগর। ঠিক ধরেছেন মতুয়াদের ধর্মীয় পীঠস্থান। এত দূর এসে সেটাও একবার দেখে না গেলেই নয়। তাই এবার আবার ট্রেনে উঠে মিনিট পাঁচেক পরেই ঠাকুরনগরে পৌঁছে গেলাম। ঠাকুর নগর স্টেশন থেকে রেল লাইন বরাবর একটি রাস্তা ধরে যাওয়া যায় ঠাকুরবাড়ি। হেঁটে গেলে মিনিট দশেক লাগে। ঠাকুর নগরে অবশ্য আমার জন্য অপেক্ষায় ছিল আমার এক সময়ের ছাত্র এখন সাংবাদিক সুপ্রভাত। সুপ্রভাতের স্কুটিতে চেপেই যাওয়া হল ঠাকুরবাড়িতে।

 

 

 

 

 

 

 

বাংলাদেশের ফরিদপুরের ঠাকুর পরিবারের সদস্য হরিচাঁদ ঠাকুর ছিলেন নমশুদ্র আন্দোলনের নেতা। মতুয়া আন্দোলনের সূচনাও করেন। এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যান তার পুত্র গুরুচাঁদ ঠাকুর। এই বংশের সন্তান প্রমথরঞ্জন ঠাকুর ১৯৪৮ সালে স্থানীয় চিকন পাড়ায় বসতি স্থাপন করেন। নাম দেন ঠাকুরনগর। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। ১৯৫৬ সালে তৈরি হয় ঠাকুরনগর রেল স্টেশন। পরবর্তিতে এখানেই গড়ে ওঠে মতুয়া মহাসংঘের প্রধান কেন্দ্র। প্রতি বছর মতুয়া ধর্ম মহামেলা উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় এখানে।

 

 

 

 

 

 

 

মেলার সময় বাদ দিলে ঠাকুরবাড়ি চত্বর নিরিবিলিই থাকে। অনেকটা জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে মতুয়া মহাসংঘের এই প্রধান কার্যালয়। সামনে পুকুরটি সুন্দর করে বাঁধিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার পাড়ে বসে থাকতে খারাপ লাগে না। কয়েকজন বসেও আছেন দেখলাম। এখানেই থাকেন সদ্য ১০০ পার করা বড়মা বীণাপাণি দেবী। সংসদে না গেলে থাকেন স্থানীয় সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরও।

ঠাকুরনগর এবং সলগ্ন অঞ্চল বহুদিন ধরেই ফুলের চাষের জন্য বিখ্যাত। একরের পর একর জনিতে এখানে শুধু ফুলের চাষ হয়। সুপ্রভাতের অনুরোধেই গেলাম গ্রামের দিকে সেই ফুলের চাষ দেখতে। মনে হল এ যেন এক ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ারে চলে এসেছি। গাঁদা, রজনীগন্ধা, জবা, আকন্দ, গোলাপ, দোপাটি ইত্যদি নানা ফুলের সমারোহে চারিদিক যেন হাসছে। ষ্টেশনের পাশেই রয়েছে এই অঞ্চলের সব চেয়ে বড় পাইকাড়ি ফুলের বাজারও।

ঠাকুরবাড়ি ছেড়ে আর একটু এগোলেই আছে একটি গির্জা। ঠাকুর নগরের এই গির্জার কিন্তু বেশ পরিচিতি আছে। রেললাইনের ঠিক পাশেই বেশ খানিকটা জায়গা জমি নিয়ে গির্জাটি। এমনিতে শান্ত পরিবেশ, তার উপরে গির্জার একটা নিজস্ব শান্ত আবহ থাকেই। সব মিলিয়ে দেখতে খারাপ লাগে না।

এবার কিন্তু সন্ধে হব হব। দেখা প্রায় শেষ। স্টেশনের কাছে এসে কিন্তু ফুলের বাজারটা একবার দেখে নিতে ভুললাম না। কারন এখানকার পাইকাড়ি ফুলের বাজার বিখ্যাত। দেখতেই দেখতেই শুনলাম ছটা পনেরো নাগাদ একটি ঠাকুরনগর লোকাল আছে, গ্যালপিং ট্রেন, মোটামুটি ফাঁকাই যায়। সেটিই ধরবার উদ্যোগ নিলাম। স্টেশন চত্বর থেকে মুড়ি চপ নিয়ে ট্রেনে উঠে জমিয়ে বসলাম। এবার ফেরার পালা…

পরিশেষে কয়েকটা জরুরী কথা। গোবরডাঙ্গায় কিন্তু ভাল কোনও থাকার জায়গা নেই। পরিচিত কোনও পর্যটন স্থল না হওয়ার কারনে হোটেল, লজ এমনকি কোনও গেস্ট হাউজও গড়ে ওঠেনি এখানে। একটু সকাল সকাল গেলে দুটি জায়গাই এক সঙ্গে ঘুরে আসা সম্ভব। বনগাঁর দিকে সকালে ট্রেনে ভিড় কম থাকে, আবার বিকেলে বা সন্ধেতেও কলকাতামুখী ট্রেনে ভিড় তেমন হয় না। গোবরডাঙ্গার মিষ্টির সুনাম আছে। শীতের সময় নলেন গুড়ের মাখা সন্দেশ, রসগোল্লা নিতে ভুলবেন না। এখানকার মিষ্টি দইও কিন্তু দারুণ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − seven =