বাবা
অ-নিরুদ্ধ সুব্রত, বনগাঁ, উত্তর ২৪ পরগনা
প্রত্যেকটি সকাল আরেকটু ছোটো ছায়ার
প্রত্যেকটি দুপুর ভারী পর্দার ধীর নড়াচড়ার
প্রত্যেকটি বিকেলে সূর্য গড়াচ্ছে আরও ধূলোয়
প্রত্যেকটি সন্ধ্যে ডুবে যাচ্ছে অন্ধকারের গুহায়
প্রতিদিন আরও চুপকরে যাচ্ছেন আমার বৃদ্ধ পিতা
একদিন যিনি তাতীর মতো চালাতেন স্বপ্নের মাকু
যেদিন সূর্যোদয় দেখতে দেখতে ধান ভর্তি খেতে
নালা বেয়ে পৌঁছেযেত শীতল জল ইচ্ছের জোরে
বাইরে থেকে ছুটে এসে সেই যে যুদ্ধের কাহিনী
বিজ ছড়িয়ে অপেক্ষায় জমির আলে বসা কথা
বহু দূর দূর থেকে কুড়িয়ে আনা সামর্থের হাসি
জনক, তোমার প্রসারিত ডানার ছায়া প্রত্যাশী
প্রত্যেক গাছ, উঠোনের ধার,রোদ ভেজা পথেই
এই সব অগোছালো ভাবেই তোমার পায়ে হাঁটা
রাজা হয়ে বসা অপ্রতিরোধ্য, বিজয়ের সিংহাসনে
বাবা,এই তো সেই রাজসভা,এখনও ছটফটে ঘোড়া
কেন শুধু গুটিয়ে রাখছ উৎসবের শামিয়ানা
কেন ভেবেছ কাঁথাখানা আরও সাজাবেনা
আরও চারা বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে মাটিতে বুনে
কেন ঘুমানোর আগে আমাদের জাগাবে না…