মৃত্যুযাত্রী
কৌশিক ঘোষ
ধুসর শ্মশানের রুক্ষ মাটিতে
চিতাভস্মের সঞ্চিত নিদ্রায় আমি এখন ১০০ বৎসরে
শুক্ষ রক্তধারায় নিসঙ্গ দেহে অভিশপ্ত নবীনের অভিনয়ে
খুদ্র আশায় শীর্ণ প্রাণের সম্বলে
তামাটে ধোঁয়ায় নিঃশাস রেখে গেছি
কিছু বৎসর আগে চিতার ঘুমন্ত অগ্নিজিহ্বায়
শেষ মন্থর নিঃশ্বাসে চেয়েছিলাম
লোকেদের ভিড়ে প্রিয়টির হাত ধরতে
কিন্তু আজ আমার নেত্রহীন দৃষ্ঠিতে প্রাণ জেগেছে,
এসেছে আজ আমার পূর্বকালের প্রিয়টির ফ্যাকাশে মুখটি।
বক্ষের পাঁজরে শত শত প্রাণের গতি জেগেছে আজ আমার
কিন্তু আমার এই দুঃখ , আনন্দ সে মায়াহীন মাথায় অপরাধের স্বার্থে।
আজও দেখছি একপাশে পুরানো একরাশ কেশের ঘন বিদর্ণ অন্ধকারে ।
আজও রয়েছে মুখটি তাঁর নুতন ছাঁচের অবহেলার, কারুকার্যের ছাপে।
সেও আমার দিকে শুন্যে হাতের স্পন্দনের অপেক্ষায়।
গভীর চোখে চোখ রেখেছে স্বজনটি আজ ,
ওই দিকে কাঠের কালো রাশি রাশি ধোঁয়া আকাশ ভেদ করে উর্ধমুখে মিলেছে অদূর প্রান্তে।
হয়ত আজ,
রাত্রির নিঃশ্বাসে
বিচ্ছিন্ন আলাপে আজ আমার পূর্ণগ্রাস।